প্রকাশ :
২৪খবরবিডি: 'ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপস) বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, যতক্ষণ পর্যন্ত এই এলাকা (পল্টন) আমরা পরিপূর্ণ নিরাপদ মনে না করব, ততক্ষণ পর্যন্ত এই এলাকায় যান চলাচল, জনসাধারণের চলাচল বন্ধ থাকবে। আমরা কোনো ব্যক্তিকে টার্গেট করে আটকাচ্ছি না। তবে এখানে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার কোনো অবকাশ নেই।'
/ গতকাল বিকেলে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে আসামি করা হয়েছে দু'হাজার জনকে /
'তিনি আরও বলেন, আমরা (পুলিশ) গতকাল সতর্কতামূলক অবস্থানে ছিলাম। কাউকে মারধর, হামলা করার উদ্দেশ্য ছিল না। কিন্তু একপর্যায়ে যখন বিএনপির নেতাকর্মীরা রাস্তায় ব্লক করে অবস্থান নেয়, জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, তখন পুলিশের পক্ষ থেকে বারবার রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। একপর্যায়ে ডিসি মতিঝিলসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ওপর অতর্কিত হামলা হয়। যখন পুলিশের ওপর হামলা হয় তখন জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে, বাধ্য হয়েছি অভিযান পরিচালনার জন্য। পুলিশের ওপরে হামলা হয়েছে, ককটেল নিক্ষেপ করা হয়েছে, নাশকতার চেষ্টা হয়েছে, নাশকতার সব ধরনের উপকরণ এখানে আনা হয়েছিল বলেও আমরা জানতে পারি। পরিচালিত অভিযানে নাশকতার যাবতীয় উপাদান আমরা এখান থেকে জব্দ করেছি। বিপ্লব কুমার সরকার বলেন,
'রাজধানী পল্টনে এই মুহূর্তে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ নেই' : পুলিশ
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে একটি রাজনৈতিক দলের কার্যালয়ে নাশকতার উপাদান পাওয়া যায়, ককটেল পাওয়া যায়। এটা খুবই দুঃখজনক বিষয় যে, এটা রাজনৈতিক কোনো সংস্কৃতির মধ্যেই পড়ে না। ককটেল রাখার জায়গা হিসাবেই আমরা এখন বিএনপি কার্যালয়কে ট্রিট করছি। আমাদের ক্রাইম সিন ইউনিট কাজ করছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আপাতত এই এলাকায় যানচলাচল এবং জনসাধারণের চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলীয় কার্যালয় ছাড়াও এখানে অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান অফিস, বাসা-বাড়ি রয়েছে। তাদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হচ্ছে। তাদের নিরাপত্তা বিধান করা পুলিশের পবিত্র দায়িত্ব। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার জন্য যা যা প্রয়োজন পুলিশের পক্ষ থেকে তাই করা হবে। গতকালের ঘটনায় এ পর্যন্ত তিন থেকে চারশত লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।'
/ সকাল থেকেই থমথমে পরিস্থিতি নয়পল্টনে। সতর্ক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ /
/ পুলিশের সতর্ক অবস্থার মধ্যেও নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা /
'নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড়ে ব্যারিকেড বসিয়ে যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচল বন্ধ করেছে পুলিশ। সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই করা হচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ। পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। স্থানীয়দের প্রবেশ করতেও দেখাতে হচ্ছে পরিচয়পত্র। সকাল থেকে বন্ধ রয়েছে দোকানপাট, বিপণীবিতান, অফিস ও ব্যাংক। পুলিশের সতর্ক অবস্থার মধ্যেও নাইটিঙ্গেল মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। 'জিয়ার সৈনিকরা এক হও লড়াই করো', 'পুলিশের বাধা মানি না মানবো না', 'জেগেছে রে জেগেছে জিয়ার সৈনিকরা জেগেছে'এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।'